ভৌত রাশির মাত্রা:

একক ও মাত্রা

লব্ধ ভৌত রাশিকে মূল এককের গুনিতক আকারে প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ প্রত্যেক রাশি মূল এককের সাথে কিভাবে সম্পর্কিত তা বোঝানো হয় ভৌত রাশির মাত্রার সাহায্যে। সাতটি মূল রাশির মাত্রা রয়েছে এবং এই মূল রাশির মাত্রার সাহায্যে সমস্ত লব্ধ রাশির মাত্রা নির্নয় করা সম্ভব। মূল রাশির মাত্রা গুলি হল নিম্নরূপ
  1. দৈর্ঘ্য  [L]
  2. ভর [M]
  3. সময় [T]
  4. তড়িৎ প্রবাহ [A]
  5. তাপগতীয় তাপমাত্রা [K]
  6. পদার্থের পরিমাণ [Cd]
  7. দীপন প্রবাল্য [mol]
ভৌত রাশির মাত্রা তৃতীয় বন্ধনীর [ ] মধ্যে লেখা হয়। 

যদি কোনো ভৌত রাশির মাত্রা লিখতে হয় তবে সেই ভৌত রাশিটি মূল রাশির সাথে কিভাবে সম্পর্কিত তা লেখা হয় এবং তার পর মূল রাশির এককগুলো লেখে সরলীকরণ (simplification) করা হয়। মনে রাখতে হবে এই সবগুলোই তৃতীয় বন্ধনীর (third braces) মধ্যে রাখা হয়। 


উদাহরণ: বেগের (velocity) মাত্রা লিখতে হবে

বেগ= সরন / সময় = [L] / [T] = [LT^-1]

যেহেতু বেগ একটি লব্ধ রাশি তাই প্রথমে বেগকে মূল রাশির রূপে লেখা হয়েছে এবং তার পর মূল রাশির এককগুলো রেখে সরলীকরণ (simplification) করা হয়েছে। এইভাবে সমস্ত ভৌত রাশির মাত্রা নির্নয় করা সম্ভব। 

আরও কিছু উদাহরণ: ত্বরণ (acceleration), বল (force), কার্য (work done) 


ভৌত রাশির কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা:

  • সমীকরণের সঠিকতা নির্নয়

  • দুটি একক এর মধ্যে সম্পর্ক নির্নয়

  • দুটি ভৌত রাশির মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা


🔲 সমীকরণের সঠিকতা নির্নয়: এক্ষেত্রে প্রদত্ত সমীকরণের দুই দিকের মাত্রা নির্নয় করা হয়, যদি দুই দিকের মাত্রা একই হয় তবে বলা যায় সমীকরণটি গানিতিক ভাবে সঠিক। 


উদাহরণ: সমবেগে (uniform velocity) গতির জন্য দূরত্বের সমীকরণ s=vt    [ যেখানে v বেগে t সময়ে অতিক্রান্ত দূরত্ব  হলো s]

সমীকরণটির বামদিকের মাত্রা হলো [L]

ডানদিকের মাত্রা হলো [LT^-1 . T] = [L]

যেহেতু সমীকরণটির দুই দিকের মাত্রা একই তাই সমীকরণটি সঠিক।